১৯১০ সালের সেরা সব প্রযুক্তি

আজ ২০১০-এর সূচনায় দাঁড়িয়ে আমরা সবাই যেমন নতুন নতুন প্রযুক্তির খোঁজ করি, ঠিক একইভাবে আজ থেকে একশ বছর আগে,১৯১০-এর সূচনালগ্নে দাঁড়িয়ে  সে সময়ের মানুষরাও নতুন প্রযুক্তির খোঁজখবর করতেন। আজ সেসব প্রযুক্তি এতটাই উন্নত আর বহুল প্রচলিত হয়েছে যে এগুলোর  কথা আলাদাভাবে বলতে গেলেআমাদের কেমন যেন লাগবে।আথচ একটু ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করে দেখুন ব্যাপারটাকে।এগুলোর আস্তিত্বও যখন ছিল না তখন কিন্তু আমার আপনার কাছে টাইম মেশিন যেমন,সেদিনের মানুষের কাছে ওসব প্রযুক্তিও ছিল ঠিক সেরকম্।কখনো কখনো এগুলো আবিশ্বাস্যও।আথচও সময়ের রথে চেপে ঠিকই  সেসব প্রযুক্তি আবিষ্কৃত হয়েছে্, পরিনত হয়েছে প্রাত্যহিকের ব্যবহার্য বস্তুতে।আজ ২০১০-এর জানুয়ারি মাসে দাঁড়িয়ে আসুন একবার পেছন ফিরে দেখি ‘আজ হতে শতবর্ষ আগে’ কি আবস্থা ছিল প্রযুক্তি ভূবনের।আজ থেকে ঠিক একশ বছর আগে প্রযুক্তি ভূবনে নিত্যনতুন পরীক্ষা নিরীক্ষা আর উদ্ভাবনের মেলা বসেছিল।বিশেষ করে বিদ্যুতের ভূবনে একের পর এক আবিষ্কার মানুষের প্রাত্যহিক জীবনকে পরিবর্তিত করে দিচ্ছিল দ্রুত। বিশ শতকের প্রথম দশকটিতে এসে মানুষ সর্বপ্রথম সক্ষম হল এর আগের শতাব্দীতে বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদরা বিদ্যুত প্রকৌশলের ভূবনে যেসব উদ্ভাবন ঘটিয়েছিলেনসেগুলোর সুফল ভোগ করতে। ১৯১০ নাগাদ ইউরোপ-আমেরিকার আনেক বাড়িউতেই বিদ্যুতের সরবরাহ হয়েছিল।ভ্যাকুয়াম ক্লিনার আর ওয়াশিং মেশিন ততদিনে আবিস্কৃত হয়ে গেছে, আস্তে আস্তে জনপ্রিয়তাও পাচ্ছে। তবে এগুলোর দাম তখনও মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে ছিল। ১৯১০-এর আরেকটি আলোচিত পন্য ছিল টেলিফোন। যুক্তরাষ্টের লক্ষ রক্ষ সাধারন মানুষ ম্যানুয়াল সুইচবোর্ডের মাধ্যমে বাড়ি থেকে টেলিফোনের সংযোগের সুযোগ ভোগ করছিল।রেডিও প্রযুক্তি একেবারেই শৈশবে ছিল,যদিও ১৯২০-এর দশকের মাঝামাঝি থেকেই পুরোদমে রেডিও সম্প্রচার শুরু হয়ে যায়।একই সঙ্গে পরিবহনের ভূবনে আকাশজান তথা বিমান নিয়ে প্রচুর আলোচনা সমালোচনা হচ্ছিল।রাইট ভ্রাতাদ্বয় এর ইতোমধ্যেই ১৯৩০ সালে তাদের সর্বপ্রথম বিমান উড্ডায়ন সমাপ্ত করেছেন। সাধারন মানুষের পক্ষে  যে বিসমানে চেপে পৃথিবীর মানুষ এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে পাখির মতো উড়ে বেড়ানো সম্ভব আমজনতা ততদিনে সেটা বিশ্বাস করতে শুরুয করেছে।একই রকম আবস্থা মটর গাড়ির ভূবনেও। হেনরি ফোর্ড তাঁর ভূবন বিখ্যাত মডেল ‘টি’ মটরগাড়ি তৈরি করে ফেলেছেন ১৯৮০ সালে। ফলে ইতিহাসে এই প্রথম বারের মত মোটরগাড়ির ব্যাপকভিত্যিক উৎপাদন এবং সাধারন মানুষ ব্যবহার করতে শুরু হয়ে গেছে।১৯১০ নাগাদ রসায়ন শাস্ত্রের ভূবনেও বড় বড় উদ্ভাবন হয়ে গেছে। গ্যাসের ব্যাবহারের নানারকম  বৈচিত্র বিশ্ব জুড়ে মানুষকে বিস্মিত করে চলেছে।বৈদ্যুতিক রেফ্রিজারেটর এবংএয়ার কন্ডিশনিং ইউনিট উদ্ভাবিত হয়েছে।এদিকে ফ্রান্সের জর্জ ক্লাঁদ নামর এক ভদ্রলোক আবিষ্কার করে ফেলেছেন গ্যাস টিউব, যার বদৌলতে প্যারিস শহরের রাস্তায় রাস্তায় নিয়ন বাতি ঝলমল করতে শুরু করেছে। এছাড়াও আন্যান্য আরও কিছু উদ্ভাবনও মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হয়েছে্, যেমন বেকলাইট প্লাস্টিক, আ্যসকেলেটর ,টিব্যাগ, সেলোফেন ইনস্ট্যান্ট কফি, ডিসপোজেবল রেজার ইত্যাদি।তখনও পোশাকের ভূবনে খুব বেশি অগ্রগতি সম্পন্ন হয়নি, জিপার আবিষ্কৃত হয় ১৯১৩ সালে,যা বিশেষ করে পুরুষদের পোশাকে বৈপ্লবিক অগ্রগতি নিয়ে আসে।

1 comment

Md Shamim Hossain said...

অআনেক পুরোনো কথা, তবে মজার

Theme images by enot-poloskun. Powered by Blogger.